২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
আগৈলঝাড়ায় আত্মহত্যা নয় সেই শিশু শিক্ষার্থী নোহাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা : মায়ের মামলা

আগৈলঝাড়ায় আত্মহত্যা নয় সেই শিশু শিক্ষার্থী নোহাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা : মায়ের মামলা

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান নোহা (৯) আত্মহত্যা নয়,তাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন তার মা তানিয়া বেগম। ১৪ সেপ্টেম্বর

সোমবার দুপুরে তানিয়া বেগম তার সাবেক স্বামী ও নিহতের বাবা সুমন মিয়া, তার চতুর্থ স্ত্রী ঝুমুর জামান এবং সুমনের বোন লিপি বেগমকে আসামি করে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক শাম্মী আক্তার নিহত শিশু নোহার ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মামলাটি নথিভুক্ত করা এবং ওই সময় পর্যন্ত নথির কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট সুমন মিয়া তাকে তালাক দেন। এরপর থেকে তিনি ঢাকায় বসবাস করে আসছেন। নোহাকে তার কাছে নিতে চাইলেও সুমন মিয়া নোহাকে তার কাছে দেয়নি। নোহাকে তার দাদা (সুমনের বাবা) আব্দুর রহিম মিয়া খুব আদর করতেন। কিন্তু তা সহ্য করতে পারতেন না সুমন ও তার চতুর্থ স্ত্রী ঝুমুর।

গত ৯ সেপ্টেম্বর নোহা বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামে স্থানীয় দারুল ফালাহ প্রি ক্যাডেট একাডেমিতে সাপ্তাহিক পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় শিক্ষক তাকে বঁকাঝকা এবং বেত্রাঘাত করে। বাড়ি ফিরে সে কিছুক্ষন কান্নাকাটি করে।

বাদীর দাবি, এ ঘটনাকে পুঁজি করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার মেয়ে নোহাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এরপর গামছা ও ওড়নায় যুক্ত করে নোহাকে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার চালানো হয়। বিষয়টিকে গ্রহণযোগ্য করতে সুমন মিয়া বাদী হয়ে শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন পাইককে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুরো ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মামলায় উল্লেখ করেন তানিয়া।

বাদী তানিয়া বেগম জানান, ৯ বছরের শিশু আত্মহত্যা চিন্তাও করতে পারে না। সেখানে গামছা ও ওড়না যুক্ত করে আড়ার সাথে ফাঁস দেয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে তিনি আদালতে ওই ৩জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে শিশু নোহার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয় বলে দাবী তার বাবা ও সৎ মায়ের। এ ঘটনায় পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর সুমন মিয়া বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন পাইককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে শিক্ষক সুমন পাইকও পলাতক রয়েছেন।###

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019